হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ:
টেকনাফে রোহিঙ্গা ডাকাত আবদুল হাকিম কর্তৃক নারী ধর্ষন, গুম, খুন ও অপহরনের নানা কূকর্মের তথ্য বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। সোচ্চার হয়ে উঠেছে বিক্ষুদ্ধ এলঅকাবাসী। এবার এই কুখ্যাত ডাকাত রোহিঙ্গা হাকিমের বিরুদ্ধে বিক্ষুদ্ধ জনতা প্রতিরোধের ডাক দিয়ে অবিলম্বে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং সাঙ্গপাঙ্গসহ আটক করতে প্রতিবাদ সভা করেছে। পাশাপাশি রাতের বেলায় চোরাগুপ্তা হামলার আশংকায় এলাকার যুবকরা রাত জেগে পাহারার ব্যবস্থা করছে বলে জানা গেছে। হাকিম ডাকাত গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত এ আতংক কাটবেনা। পাহারা এবং বিক্ষুদ্ধ জনতার অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছে এলাকাবাসী।

জানা যায়, ১৩ ফেব্রুয়ারী বিকাল ৪টায় টেকনাফ উপজেলা পরিষদের শহীদ মিনার চত্বরে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে পুরান পল্লানপাড়া, নতুন পল্লানপাড়া, নাইট্যংপাড়া, ইসলামাবাদ ও ধুমপ্রাংবিল এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকার শতশত নারী-পুরুষ ও যুবক স্বতঃস্ফুর্তভাবে অংশ গ্রহন করে প্রতিবাদ জানান। সভায় ২ নং ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর আলহাজ্ব আবু হারেছ, ফিরোজ আহমদ, নুরুল কবির, জহির আহমদ, মনির আহমদ, আলহাজ্ব হাফেজ এনামুল হাসান মাতব্বর, শাহ আলম, নুরুল আলম, মোঃ সেলিম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বক্তাগণ বলেন, ‘কুখ্যাত রোহিঙ্গা এ হাকিম ডাকাত অনেক মায়ের বুক খালী করেছে, নারীদের ইজ্জত কেড়েছে, অপহরণ করে লাখ লাখ টাকা মুক্তিপন আদায় করেছে। কিছু দেশীয় দালালের জন্য এলাকাবাসীর ঘুম হারাম হয়েছে’। এসব দালালদের প্রতি হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করে বক্তাগণ বলেন, ‘হাকিম ডাকাতের ভয়ে ৩৫টি পরিবার এলাকা ছাড়া হয়েছে। তার হাতে এ পর্যন্ত সাবেক মেম্বারসহ অনেকে হত্যার শিকার হয়েছে। অপহরণ হয়েছে অনেক যুবক, ধর্ষনের শিকার হয়েছে অসংখ্য যুবতী। এবার কঠোরভাবে প্রতিরোধ করা হবে’।

টেকনাফ মডেল থানার ওসি মঈন উদ্দীন খানের প্রসংশা করে বক্তারা বলেন, ‘গত কয়েক বছর ধরে এ হাকিম ডাকাতের উত্থান হলেও এ পর্যন্ত তাকে গ্রেফতারে কোন প্রশাসন সরাসরি অভিযানে যায়নি। বতর্মান ওসি জীবণের ঝুঁকি নিয়ে সাহসিকতার সাথে অভিযান চালিয়ে তার আস্তানা থেকে নাইট্যং পাড়ার জালাল আহমদ নামে এক যুবককে উদ্ধার করেছেন। এধরনের অভিযান চালিয়ে অনতিবিলম্বে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং হাকিম ডাকাতকে দলবলসহ আটকের দাবি করছি’।

এদিকে বিক্ষুদ্ধ জনতা সংঘবদ্ধ হয়ে দূর্ধর্ষ রোহিঙ্গা ডাকাত আবদুল হাকিম ও তার সহযোগীদের আস্তানা বৈদ্য ঘোনা এলাকায় ৪টি, মোনাফ ঘোনায় ১টি, মায়মুনা প্রাইমারি স্কুল ও স্থানীয় মোঃ হারেছ কাউন্সিলরের বাসা সংলগ্ন ২ টি বসতবাড়ী ভাংচুর করে।

উল্লেখ্য, ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা মুক্তিপনের দাবীতে স্থানীয় এক যুবককে অপহরনের ঘটনায় এলাকাবাসী বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে। অবশ্য পুলিশ ও জনতা গত রবিবার পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে অপহৃত যুবককে উদ্ধার করে। এঘটনার পর থেকে স্থানীয় লোকজন হাকিম ডাকাতের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠে। প্রতিশোধ নিতে হাকিম ডাকাত যে কোন সময় রাতের অন্ধকারে স্থানীয়দের উপর হামলা চালাতে পারে বলে আশংকা করছেন স্থানীয় বাসিন্দাগণ।